সুফিবাদ ও ইসলাম; বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস

সুফিবাদ ও ইসলাম; বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস

 

সুফিবাদ ও ইসলাম; বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস


ইসলাম প্রচারের ইতিহাস:


ইসলাম একটি মহান ধর্ম যা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ (সা.) দ্বারা স্থাপিত হয়েছে। মুহাম্মদ (সা.) এই সম্প্রদায়ের গঠনকারী ও স্পষ্টতম প্রচারক ছিলেন। ইসলাম একটি আব্দুল্লাহ বংশের মেয়ের শিশুতেই শুরু হয়েছিল যার নাম ছিল মুহাম্মদ (সা.)


ইসলামের প্রচার প্রথমে মক্কা শহরে শুরু হয়। মুহাম্মদ সালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর প্রচার মক্কা ও মদীনা দুটিতেই একইভাবে চলে আসে। আদিতে মুহাম্মদ কেবলমাত্র কিছু ব্যক্তিগত সহবাসের মাধ্যমে আপনারা তাঁর বাণী এবং বিশ্বাসগুলি জানতেন। তবে মুহাম্মদের প্রচার দ্বীনের জন্য বিস্তৃত হওয়া শুরু হয় মক্কার শহরে অনেক বিপদময় সময়ে।


অধিকাংশ মক্কানী বেদুইন ইসলাম স্বীকার করেননি এবং এদের মধ্যে ইসলামের প্রচার বেশিরভাগ পরিবারগুলি ক্রুড় হুজুর থেকে আত্মীয় ও বন্ধুদের মাধ্যমে পেয়েছেন। তাঁরা নিজেদের ইসলামী সম্প্রদায় থেকে এমন প্রচারকের বিপরীতে প্রতিপক্ষ থাকলেও তাঁদের প্রচারের ফলে ইসলাম একটি গতিময় প্রচার পায় এবং মুহাম্মদের পরিবারকে শক্তি প্রদান করে।


মুহাম্মদের নেতৃত্বে ইসলামের প্রচার বিস্তৃত হয়ে গেল মক্কা ও মদীনায়। একটি মৌলিক পরিবর্তন ঘটে গেল যখন মুহাম্মদ ও তাঁর অনুযায়ী অনেক অনুসরণী মক্কা থেকে মদীনায় বাড়ি বদল করেন। এই ঘটনাটি হিজরার নামে পরিচিত হয়। মুহাম্মদ মদীনায় একটি ইসলামী রাষ্ট্র স্থাপন করেন এবং তাঁর সমর্থকদের সংখ্যা বেড়ে যায়।


মুহাম্মদের মৃত্যুর পর থেকেই ইসলামের প্রচার বিস্তৃত হয়ে ওঠেমুহাম্মদের মৃত্যুর পর থেকেই ইসলামের প্রচার ও প্রসার আরও বিস্তৃত হয়ে ওঠে। মুহাম্মদের পর প্রধানতম প্রচারকগণ ইসলামের বাণী সংগ্রহ করে বই হিসেবে সংরক্ষণ করেন এবং তাঁদের মহলসহ নিজেদের মাধ্যমে ইসলামের বাণী প্রচার করেন। এছাড়াও আদিতেই মুহাম্মদের বিশ্বজনের মধ্যে ইসলামের প্রচারকতা ছিল, যারা মুহাম্মদের বাণী এবং জীবনযাপন অনুসরণ করেন।


বাংলাদেশে প্রথম ইসলাম প্রচার:


বাংলাদেশে ইসলামের প্রথম প্রচার ঘটে এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। বাংলাদেশ একটি মুসলিম বিশেষজ্ঞ জন্মভূমি, এবং ইসলাম এখানে বহুত পুরাতন সময় থেকেই প্রচলিত ছিল।


বাংলাদেশে ইসলামের প্রথম প্রচার তখন থেকেই শুরু হয়, যখন ইসলাম এই অঞ্চলে আকর্ষণ পেয়ে শুরু করে। ইসলাম প্রচারকরা বাংলাদেশে এলেন মূলত দলে দলে, মেলামেশা করে অথবা একটি সংস্থা বা সম্প্রদায় পরিচালিত হতে পারেন। তারা ইসলামের শিক্ষা ও মূল্যবোধ প্রচার করতেন বিভিন্ন উপায়ে। এই প্রচারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও পরামর্শকারী হিসামে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিলেন হযরত শাহ্‌ জালাল আল মকদুম (রহ.), শাহ্‌ জালাল আল মকদুম (রহ.) এবং সুফী সালার মাসুদ রহমতুল্লাহ আলাইহিমার প্রচার এবং কারাগারে থাকার সময়ে তাঁরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।


বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসার একটি অপরিহার্য অংশ হিসাবে প্রকাশ পায় ইসলামিক চর্চেস, মসজিদ, মাদ্রাসা, মাখবরিয়া, মক্তব, জামে মসজিদ ও কুরআনী মাহফিল ইত্যাদির গঠন ও প্রচারণার মাধ্যমে। এছাড়াও কুরআন ও হাদিসের বই এবং পুস্তকের প্রচারের মাধ্যমেও ইসলামের বাণী ও প্রচার বিস্তৃত হয়েছে।


বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের ইতিহাসে মার্কিন্ডের দ্বীনবদ্ধতা, ইসলামি সম্প্রদায়ের বহুমুখী প্রচারকরা, ইসলামী প্রচার সংগঠন, উলেমা ও মুসলিম প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা ও সমর্থন এবং মুসলিম উম্মাহের সংখ্যার বৃদ্ধি এবং মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের ইসলামিক প্রচরার অবদান পর্যালোচনা করা উচিত। এছাড়াও বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসার নিয়ে অনেক গবেষণা ও লেখা রয়েছে, যেগুলো পরিবেশন করেছে বাংলাদেশের ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, আবদুল্লাহিল মাকসুদ ইসলামিক উন্নয়ন কেন্দ্র ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো।


বাংলাদেশে প্রচারিত হওয়া ইসলাম একটি গভীর ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া, যা একটি পূর্বপুরুষ সমাজের আলোকে পরিচালিত হয়েছিল এবং সময়সীমানে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। প্রচার এবং প্রসারণ একটি সামাজিক পদক্ষেপ, যা সামাজিক পরিবর্তনের জন্য ভারসাম্য ও স্থায়িত্ব সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার এবং প্রসারের মাধ্যমে অনেক মানুষ ইসলামের ব্যাপারে জ্ঞান পেয়েছেন এবং তাদের জীবনযাপনে ইসলামিক নীতি ও মূল্যবোধ প্রয়োগ করেছেন।


সুফিবাদ কি?


সুফিবাদ একটি আন্দোলন বা সাম্প্রদায়িক পথ, যা ইসলামিক মিল্লাতের অংশভূত হয়েছে। সুফিবাদ মূলত মিস্টিকাল এবং আনন্দমূলক প্রাকটিকাল পথে ভূমিকা পালন করে। সুফিবাদের অনুযায়ী, মানুষের সম্পর্ক ভগবান আল্লাহ সহ নিজের সহযোগিতা, ভালবাসা, প্রেম ও আনন্দের সন্ধান দেয়। তাদের উদ্দেশ্য হল ইসলামের আদর্শ, মোরাল এবং মুসলিম সমাজের উন্নয়ন বাড়ানো এবং আনন্দের উপাস্যতা প্রচার করা।


সুফিবাদের প্রতিষ্ঠাতা সুফি নামক ব্যক্তিগণ, যারা দীনের প্রাচীন বিচারপথে নির্মিত হয়েছিল। তারা ধার্মিক তত্ত্ব, ধারণা, মেলামেশা, জাপ ও ধ্যানের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ও আনন্দের উপাস্যতা সন্ধান করতে চেষ্টা করেন। তারা মহান আললাহর কাছে ভগবানের প্রেম, আনন্দ এবং সম্পদ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেন।


সুফিবাদের মধ্যে সংযত হলেও, তারা বিশেষ পথে এগিয়েছেন আর ইসলামিক মিল্লাতের সাথে ভূমিকা পালন করেছেন। তারা মানব আত্মার সাথে প্রাণী ও প্রকৃতির সংগঠনের সম্পর্কেও বিচার করেন। সুফিবাদের প্রচারের মাধ্যমে মানুষেরা ইসলামিক মূলমন্ত্রগুলি সম্পর্কে ধারণা করে এবং তাদের জীবনে ইসলামিক মূল্যবোধ প্রয়োগ করেন।


বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে সুফিবাদের অবদান:


বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে সুফিবাদের অবদান অপরিসীমিত এবং গুরুত্বপূর্ণ। সুফিবাদের মাধ্যমে ইসলামের ভারসাম্য, ভালবাসা, মানবিকতা এবং আনন্দের সন্ধান দেওয়া হয়। সুফি মানে স্যাক্সফুল আনুভব বা ভালবাসার মধ্যে প্রবেশ করার প্রয়াসকারী। তাদের মাধ্যমে ধর্মীয় সাহিত্য, কাব্য, গান, সঙ্গীত, নৃত্য, ছবি ও শিল্প সাহিত্য তৈরি করা হয়েছে।


বাংলাদেশে সুফিবাদের প্রচারের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও অগ্রগতি লাভ করেছে চিষমা সিলসিলা, কাদেরিয়া সিলসিলা, নকশবন্দি সিলসিলা এবং আহলে হাদীস সিলসিলা। এদের কাছে প্রচলিত ছিল সুফিসদের আদর্শ, ভালবাসা ও উপাস্যতা, ধার্মিক সঙ্গঠন এবং বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের নির্দেশিকা।


সুফিবাদের সংকল্প মতে, ভগবান আল্লাহর প্রতি প্রতিষ্ঠিত ভালবাসার মাধ্যমে মানব আত্মা তাঁহার সাথে মিলিত হয়ে অনন্য আনন্দ লাভ করতে পারে। এদের প্রচারে সুফিরা অনন্য আত্মসমর্পণ, জীবন দান এবং বিভিন্ন পীর ও পীরানীর কাছে মানসিক ও ভৌতিক সম্পদ খুঁজে পেতে পারে। তাদের প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষেরা ইসলামের মতামত, মর্যাদা ও নৈতিকতা নিয়ে জীবন পালন করেন এবং সমাজে সদাচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।

আজকে এ পর্যন্তই । ইনশাল্লাহ পরবর্তী পোস্টে আরোও বিশদ আলোচনা হবে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Below Post Ad