চাকরি সম্পর্কিত নানান প্রশ্ন। জেনে নিন এখনই || Various job related questions

চাকরি সম্পর্কিত নানান প্রশ্ন। জেনে নিন এখনই || Various job related questions 


চাকরি কি?


চাকরি- বহুল প্রচলিত একটি শব্দ।  চাকরি হলো কতিপয় কর্মকাণ্ডের সমষ্টি যা সাধারণত নিয়মিত কোনো কাজ করাকে বুঝায় এবং অর্থ বিনিময়ের বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে বিবেচিত হয়। চাকরি মানে এমন একটি ব্যাপার হতে পারে "কিছু কাজ যা করতে হয় এবং বিনিময় গ্রহণ করা হয় ", উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- আমরা সবাই কিছু না কিছু কাজ করে থাকি। যেমন ধোঁয়া-মোছা ইত্যাদি। চাকরি মানে এও বোঝায়  যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি আয় রোজগার করে। মোট কথা- কোনো কাজের মাধ্যমে আয় করাকেই আমরা সাধা্রণ ভাষায় চাকরি বলতে পারি।



কত বছর বয়স পর্যন্ত সরকারি চাকরি করা যায়?


বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে কোটার ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি ব্যাপার আছে।  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী, যেসব আবেদনকারীর বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল, তারাও বিসিএস ছাড়া অন্যান্য সরকারি চাকরির জন্য ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে আবেদন করতে পারবেন। সেই মতে- বর্তমানে যারা যোগ্য হিসাবে বিবেচিত তারা সরকারি চাকরির আবেদন করতে পারেন। সরকারি চাকরিত একজন কর্মচারী ও কর্মকর্তা নিজের বয়সের সর্বোচ্চ 59 বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন।


চাকরি কি? কত বছর বয়স পর্যন্ত সরকারি চাকরি করা যায়? চাকরি নাকি চাকুরী কোনটি সঠিক? সরকারি চাকরির আবেদন করতে কি কি লাগে? সরকারি বানান কি? Various job



চাকরি নাকি চাকুরী কোনটি সঠিক?


আমরা অনেকেই “চাকরি নাকি চাকুরী” এ নিয়ে দ্বন্দ্বে ভোগি।  চাকরি শব্দটি উচ্চারণ গত ভাবে সঠিক। কিন্তু আপনি যদি ”চাকরী” লিখেন বা বলেন তাহলে উচ্চারণগত ভাবে এটা ভুল হবে। তবে বাংলা আভিধানিক অর্থে কোন পরিবর্তন হবেনা। এবং আধুনিক বানান রীতি অনুযায়ী শব্দটা ”চাকরি” হবে। তাই আমরা লিখিত ভাষায় চাকরি ব্যবহার করে থাকি।



সরকারি চাকরির আবেদন করতে কি কি লাগে?


সরকারি চাকরির আবেদন করতে কি কি লাগে- এটা আমরা অনেকেই জানি না। আবার অনেকে জানি কিন্তু পরিপূর্ণভাবে জানি না । বিশেষকরে যারা নতুন তারা এই সমস্যায় পড়ি বেশি। তাই আমরা আপনার এই প্রশ্নটির উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি।

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ও চাহিত সকল সনদের মূল ও সত্যায়িত কপি থাকতে হবে। বর্তমানে সাধারণত প্রাথমিক আবেদনের সময় সনদ জমা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কেননা বর্তমানে প্রায় সকল বিভাগেই অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে কিন্তু প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার সময় সকল সনদসহ নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদসহ চাহিত সকল সনদ দেখাতে হয় হয়। সে সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদপত্রের আসল কপি সাথে রাখতে হবে।



কোন দেশে চাকরির বয়স কত?


বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।  যেমন- আমেরিকায় 59 বছর বয়সেও একজন বৈধ ও যোগ্য নাগরিক সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারেন। আবার শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত। কিন্তু বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। কোটা ভেদে তা কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন ‍মুক্তিযোদ্ধা ও বিভাগীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। 




সরকারি বানান কি?


আমাদের দেশে এত দিন ধরে বানানটা ছিল 'সরকারী'। কিন্তু এটাকে 'সরকারি' লিখলেও তা শুদ্ধ হবে বলে বাংলা একাডেমি বিধান দিয়েছে। বাংলা একাডেমির পন্ডিত বর্গের যুক্তি হলো- এটা বিদেশি শব্দ,  এই শব্দের বেলায় সংস্কৃত বানান নিয়ম খাটে না। 'সরকার' শব্দের শেষে তাই হ্রস্ব ই–কারের বদলে দীর্ঘ ঈ-কার দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই এখন থেকে আমরা অফিসিয়ালি সরকারি লিখে থাকি।



চাকরির অফার না করার উপায়:


আমি অমুক  আমাকে [অমুক কোম্পানি] এ [ম্যানেজার] পদের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যদিও আমি সুযোগের জন্য কৃতজ্ঞ, আমি যথাযথ সন্মান ও বিনয়ের সাথে কোম্পানির  চাকরির অফারটি প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ আমি অন্য একটি চাকরির্ অফার পেয়েছি যা আমার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য এবং আকাঙ্ক্ষার সাথে আরও ভালভাবে মিলে যায়। সুতরাং আমি আবারও কৃতজ্ঞা প্রকাশের সাথে উক্ত পদে চাকরির অফারটি ফিরিয়ে দিচ্ছি। সাথে সাথে আমি অমুক কোম্পানির সাফল্য কামনা করছি।




আমি কি চাকরির প্রস্তাব গ্রহণের জন্য আরও সময় চাইতে পারি?


আপনি যদি চাকরির প্রস্তাব বিবেচনা করার জন্য আরও সময় চাইতে চান, তবে আপনার কাছে একটি ভাল কারণ থাকতে হবে। যেন আপনি কারনটি যথাযথ ভাবে কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে পারেন। এমন একটি কারণ থাকা নিশ্চিত করে যে,  আপনি আপনার সময় বা নিয়োগকারী পরিচালকের সময় নষ্ট করছেন না। মনে রাখবেন যে, আপনি তাদের অফারটি বিবেচনা করার জন্য আরও সময় প্রয়োজন কেন তাদের একটি কারণ দিতে বাধ্য নন। কিন্তু দিতে হবে।



আমার কি এখনই চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত?


আপনার যদি একটি চাকরির অফার আসে, তবে সময়মত চাকরির অফারে সাড়া দেওয়া ভালো । এর অর্থ এই নয় যে. আপনাকে এখনই আপনার চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, প্রতিক্রিয়া জানাতে এক বা দুই দিন অপেক্ষা করা আপনার জন্য সহায়ক হবে। তবে মনে রাখবেন যে, আপনি কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে হবে যে, আপনি তাদের সময় নষ্ট করছেন না। বরং এটি বিবেচনার জন্যই একটি যৌক্তিক সময় নিচ্ছেন মাত্র।



আপনি চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করেন কেন?



ধরুন,  আপনাকে এমন একটি চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যা আপনার স্বপ্নকে সত্যি করে না আপনার ক্যারিয়ারের সাথে মিলে না বা আপনার ব্যক্তিত্ব, পড়াশোনা, ও ভাল লাগার সাথেও মিলে না, তবে আপনি যা চান ঠিক সেই কাজটিতে পরিণত করার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো আপনি  ঐ কোম্পানীকে ভালবাসেন ; যদি চাকরির শিরোনাম আপনাকে আটকে রাখে তবে তা বৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন। যাতে করে আপনি আপনার কাজটাকে উপভোগ করতে পারেন। তবেই আপনি আপনার চাকরিটা করে বেশ ভাল সময় কাটাতে পারবেন। অন্যথায় আপনি চাকরিই করে যাবেন কিন্তু ক্যারিয়ার দিন দিন ভেঙ্গে পরবে।



আপনি কি নতুন চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করবেন?


আপনার যদি কোনো চাকরির অফার আসে, তবে আপনি চাকরির অফার গ্রহণ করতে হবে কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য কোম্পানিটি আপনার জন্য সঠিক কিনা তা বিবেচনা করুন, সময় নিন। ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন । উক্ত চাকরিস্থানে চাকরিটি আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা তা নির্ধারণ করতে একটি স্ব-মূল্যায়ন করুন।


সর্বপরি, একটি চাকরি হোক তা সরকারি বা বে-সরকারি, এটি আপনার ক্যারিয়ার। তাই সব দিক বিবেচনা করে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। কারণ চাকরিটি আপনাকেই করতে হবে।


Post a Comment

1 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Below Post Ad