আমেরিকাতে পড়াশোনা নিয়ে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর: চলুন জেনে নিই।
প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী পাড়ি দেন মার্কিন মূলুকে, উদ্দেশ্য- উচ্চ শিক্ষা অর্জন ও গবেষণা। বিচিত্র বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে আমেরিকায়। তার উপর তো বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছেই।
আজকের আলোচনায় আমরা মূলত কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করবো বুদ্ধজনদের অভিজ্ঞতা ও জানান আলোকে।
স্নাতকের জন্য আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদনের সুযোগ কেনম?
উত্তর: স্নাতক বা সন্মান পর্যায়ে পড়াশোনা করার বেশ বিস্তৃত ও নানান প্রকার সুযোগ রয়েছে। সেখানকার কমিউনিটি কলেজগুলোতে দুই বছরের এসোসিয়েট ডিগ্রীর আবেদন করা যায় সহজে। আবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও নানান বিষয়ে পড়ার জন্য চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রীর জন্যও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীগণ আবেদন করতে পারেন।
এসএটি ও টোয়েফল পরীক্ষার নির্ধারিত স্কোর অর্জনের মাধ্যমে এসব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ পেতে পারেন।
আমেরিকাতে কি বৃত্তির মাধ্যমে পড়াশোনা করার সুযোগ আছে?
উত্তর: স্নাতক পর্যায়ে বৃত্তির সংখ্যা তুলনামূলক কম। তবে বিশ্ববিদ্যালয় হতে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তহবিল প্রদান করা হয়ে থাকে। মানে কেউ যদি তার আর্থিক খারাপ অবস্থার কারণ দেখিয়ে, তার আগ্রহ ও প্রয়োজনটা বুঝিয়ে উপস্থাপন করতে পারে, তবে সে ক্ষেত্রে বৃত্তির ব্যবস্থা হতে পারে।
তবে, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ার জন্য মেধাভিত্তিক বৃত্তি ও আর্থিক প্রনোদনা প্রদান করা হয়ে থাকে। আমেরিকাতে পড়াশোনার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় বৃত্তি হলো ফুলব্রাইট স্টুডেন্ড প্রোগ্রাম। আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থীই এই প্রোগ্রামের আওতায় সেদেশে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছেন।
আইইএলটিএস নাকি টোয়েফল, কোনটি বেশি কার্যকর?
উত্তর: আমেরিকাতে পড়াশোনা করার জন্য ভাষা দক্ষাতার প্রমাণ আপাকে দিতেই হবে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই আবেদনের জন্য ইংরেজি ভাষা দক্ষাতার প্রমাণ দেযা জরুরি। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যারা পড়তে চান, তাদের জন্য টোয়েফল, কোনে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইলটিএস স্কোর সদন জমা দিতে হবে।
আমেরিকাতে জীবনযাত্রার ব্যয় কেমন?
উত্তর: সেখানকার বিভিন্ন অঞ্চল ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ও মান বিবেচনায় আপনার জীবন যাত্রার ব্যয়ও ভিন্ন ভিন্ন হবে। ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি এমনসব সিটিতে ব্যয় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে, এটাই স্বাভাবিক।
পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায় কি?
উত্তর: সুযোগ আছে। আমেরিকার শিক্ষার্থীগণ পড়াশোনার পাশাপাশি অন ক্যম্পাস 20 ঘন্টা কাজ করতে পারেন। িএছাড়াও বিষয় ভিত্তিক পড়াশোনার ক্ষেত্রে কেউ কেউ অপশনাল প্রাকটিক্যাল ট্রেনিং কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন মেয়াদে কাজ করতে পারেন।
আপনি চাইলে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন, নিম্মেক্ত ওয়েবসাইটগুলো ভিজিট করে:
https://www.k-state.edu/isss/resources/scholarships_kstate.html
https://www.ou.edu/admissions/affordability/scholarships
this is a accurate article
ReplyDelete