ডিমের উপকারিতা।ডিম কখন খাবেন কখন খাবেন না ।
ডিমের উপকারিতা |
ডিমের খাদ্য গুণের কথা কমবেশি সবাই জানেন। ডিমে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন, প্রোটিন ও খনিজে ভরপুর। ডিম খেলে শরীরের নানা রকম উপকার হয়। আবার অনেক সময় ডিম খেলে অনেকের ক্ষতি হয়।
অনেকেই আবার ডিম কে অশুভ প্রতিক মনে করে তাই বেশির ভাগ অনুষ্ঠানে ডিমকে এরিয়ে চলে। কিন্তু ফ্রান্স তথা ইউরোপের অনেক দেশেই ডিমকে সৌভাগ্যের প্রতিক মনে করে।
তার কারন খাদ্য থেকে আমরা যে আট টি অ্যামাইনো এসিড পাই তার সব গুনই ডিমের মধ্যে আছে।
অনেকেই আবার মনে করেন ডিম খেলে পেটের গ্যাস হয়,ডিম খেলে অম্বল হয়,ডিম খেলে হাঁপানি হয়ে থাকে,ডিম খেলে আমাশয় হয়,ডিম খেলে ডায়রিয়া হয়,জন্ডিসে ডিম খাওয়া যাবে না এগুলো কিন্তু ঠিক না।
শিশুর জন্মের ছয় মাস থেকেই ডিম খাওয়া যাবে।তবে শিশুদেরকে সুসিদ্ধ ডিম দিতে হবে অসিদ্ধ নয়। নয়তো এতে শিশুর বদহজম হতে পারে।
পনের বছর বয়স পর্যন্ত দিনে একটি করে ডিম খাওয়া যাবে এটি একটি পরিপূর্ণ খাদ্য।তবে চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া যেতেই পারে। গর্ভবতী মহিলাদের যদি এলার্জি না থাকে তবে একটি বা দুটি করে ডিম খাওয়া যাবে।মনে রাখবেন এলার্জি হলে ডিম খাওয়া যাবে না।
যাদের ডিম খাওয়া যাবে নাঃ
* যে সকল লোক গেটে বাতে আক্রান্ত তাদের ডিম খাওয়া যাবে না।
* যাদের হার্টে সমস্যা রয়েছে (হার্ট অ্যাটাক)তাদের ডিম খাওয়া যাবে না।
* যাদের হার্ট বাইপাস সার্জারি হয়েছে তাদের ডিম খাওয়া যাবে না।
* যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাদের ডিম খাওয়া উচিত নয়।
* ডিম খেলে যাদের এলার্জি হয় তাদের ডিম না খাওয়াই ভালো।